ইয়াস মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি, ঝুকিপূর্ণ ৪ উপজেলায় ৪৬ মেডিকেল টিম
বাগেরহাট প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড়ের কারণ
বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা
ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা ২০২০
ঘূর্ণিঝড়ের ফলাফল
ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা ২০১৮
ঝড়ের নামকরণ তালিকা
ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় বাগেরহাটে ব্য্পাক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ,সরকারি-বেসরকারিবিভিন্ন সংস্থা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।দূর্যোগব্যবস্থাপনা কমিটির জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির সভাঅব্যাহত রয়েছে।উপকূলে অবস্থিতহওয়ায় জেলার মোংলা, রামপাল, শরণখোলা ওমোরেলগঞ্জকে অধিক ঝুকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়েছে। এসব উপজেলারপ্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে পৌছে দেওয়া হয়েছেপ্রয়োজনীয় ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী।চারটি উপজেলায় থাকছে ৪৬টিমেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইয়াস মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরাও তৎপর রয়েছে।এছাড়াও ইয়াস মোকাবেলায় জেলার মোংলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জও শরণখোলাউপজেলায় ৩শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেনবাগেরহাট রেড ক্রিসেন্টের ইউনিট প্রধান এ এস এম গোলামকবির।শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আছাদুজ্জামানমিলন বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেষনা অনুযায়ী উপজেলা ওইউনিয়ণপর্যায়ে আমরা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছি। প্রত্যেকটিওয়ার্ডে-ওয়ার্ডেও সভা চলছে।ঝড় সম্পর্কে সকলকে সতর্ক থাকতেপরামর্শদেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খুলে দিয়ে প্রয়োজনীয় আলো ওপানির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে স্বাস্থ্যবিধিনিশ্চিত করতেও স্বেচ্ছাসেবকদের বলা হয়েছে। এছাড়াও সকলজনপ্রতিনিধি, চকিদার ও বিভিন্ন দূর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করাতালিকাভুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আসন্নইয়াসের আঘাতের ক্ষতি কমাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি আমরা।ইয়াস মোকাবেলায় চিকিৎসা বিষয়ক প্রস্তুতি সম্পর্কেবাগেরহাটেরসিভিল সার্জন ডা. কে.এম হুমায়ুন কবির বলেন, ঘূর্নিঝড় ইয়াসমোকাবেলায় জেলার সকল হাসপাতাল ও স্বাস্থকেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুতথাকতেবলা হয়েছে।বিদ্যমান স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি জেলার অধিক ঝুকিপূর্ণচারটি উপজেলার ৩৬ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভা রয়েছে। এসব ইউনিয়নওপৌরসভায় একটি করে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে।এছাড়াও চারটিউপজেলার প্রত্যেকটিতে দুটি করে এক্সট্রা মেডিকেল টিম প্রস্তুত করাহয়েছে।যারা জরুরী পরিস্থিতিতে যেকোন মানুষকে স্বাস্থসেবা দিতেভূমিকা রাখবে।প্রত্যেকটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় ঔষধ ওচিকিৎসা সামগ্রী পৌছেদেওয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আ.ন.ম ফয়জুল হক বলেন, মোরেলগঞ্জ, শরণখেলা,মোংলা, ও রামপাল উপজেলাকে অধিক সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এসবউপজেলায় জারের মাধ্যমে সুপেয় পানি, শুকনো খাবার ও দূর্যোগমোকাবেলায় প্রয়োজনীয় মালামাল সংরক্ষন করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকপ্রস্তুত করা হয়েছে।সরকারি-বেসরকারি সকল সংস্থা, জনপ্র্রতিনিধিসহসব বিভাগের সাথে সমন্বয় করে ইয়াস মোকাবেলার প্রত্যয় ব্যক্তকরেনতিনি।আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টসুস্পষ্ট লঘুচাপটি রোববার (২৩ মে) সন্ধ্যা নাগাদ নিম্নচাপে রূপ নিতেপারে।সোমবার (২৪ মে) এটা ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে রূপ নিতে পারে এবংওইদিন সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকালের মধ্যে এটি তীব্র থেকে অতি তীব্রঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।বুধবার (২৬ মে) বিকেল নাগাদ উত্তর উড়িষ্যা,পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে এলাকায় আঘাত হানার সম্ভাবনারয়েছে।
বাগেরহাট
২৩.০৫.২০২১
Post a Comment