আল্লামা আহমদ শফী হুজুরের ইন্তেকালের পর নাস্তিক শাহবাগ লীগ (অমি পিয়াল, প্রভাস আমিন, আজম খান গং) তাদের নতুন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জুনায়েদ বাবুনগরী আতংকে ভুগতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক জগতে হেফাজতে ইসলাম যে একটা ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি তা তারা জানে। ছেলে আনাস মাদানীকে কিনে বাবা আহমদ শফি সাহেবকে বাগে এনে আ’লীগ বেশ একটা তৃপ্তিদায়ক অবস্থায় ছিলো। হাছিনার সদ্যপ্রয়াত সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নাল আবেদীন এর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল আনাস মাদানী ও তার বাবা। “নগদ বিশ কোটি টাকা, রেলওয়ের জমি আর রাঙ্গুনিয়ায় মাদ্রাসা সংলগ্ন ১০ একর খাস জমি বন্দোবস্ত” বিশ্বাস ঘাতক আনাস মাদানীকে কেনার জন্য যথেষ্ট ছিলো। রাঙ্গুনিয়া মাদ্রাসার পরিচালক শফি হুজুরের বড় ছেলে এখনো তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
কিন্তু জুনায়েদ বাবুনগরী তো নিয়ন্ত্রণে নেই। হেফাজতের ভিতরে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন নেতা। এইসব তথ্যই শাহবাগী লীগরা জানে। তাই তাদের মাঝে অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। তারা শফি সাহেবের মৃত্যুর জন্য নিরপরাধ জুনায়েদ বাবুনগরীকে দায়ী করে তাকে গ্রেফতার বা দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দিতে চায়।
দেশের আলেম সমাজ এক অন্যরকম পরীক্ষার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। নেতৃস্থানীয় আলেমদের অবস্থান কি হবে তার উপর দেশের রাজনীতি আর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
c: Imtiaz Chy Shuvro, Rashed Khan
Post a Comment